তারা কি উটের দিকে দেখে না, কিভাবে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে?
তারা কি উটের দিকে দেখে না, কিভাবে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে?
আমরা যখন মরুভূমির প্রাণীর কথা ভাবি, প্রথমেই মাথায় আসে—উট। আল্লাহর কিতাবে সরাসরি বলা হয়েছে,
তারা কি উটের দিকে তাকায় না, কিভাবে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে?
(সূরা গাশিয়াহ: ১৭)
উট আসলেই এক আশ্চর্য সৃষ্টি। একে দেখে না ভাবলেই নয়।
১. উট আর নোনা পানি
আমরা যদি নোনা পানি খাই, শরীর খারাপ হয়ে যাবে। কিন্তু উট? সে মৃত সাগরের মতো নোনা পানিও খেতে পারে। তাতে তার শরীরের চাপ বাড়ে না।
কেন?
কারণ তার কিডনি পানিকে এমনভাবে ফিল্টার করে যে পানি আলাদা হয় আর লবণ আলাদা হয়। ফলে উট আসলে লবণ থেকে মিষ্টি পানি বের করে খায়।
২. উট আর কাঁটা
ভাবো তো, মরুভূমিতে সবুজ কিছু নেই, শুধু কাঁটা। আমরা তো সেটা খাওয়ার কথা চিন্তাই করতে পারি না। কিন্তু উট?
লালার বিশেষ গুণ
তার লালা অ্যাসিডের মতো শক্তিশালী, যা কাঁটা গলিয়ে দেয়। পাকস্থলীতেও কোনো ক্ষতি হয় না। ফলে কাঁটা ও কাঁটাযুক্ত খাদ্য উট সহজেই হজম করে।
লোকাচার
এজন্য আরব বেদুইনরা যদি কারও হাতে-পায়ে কাঁটা ফোটে, সেখানে উটের লালা লাগিয়ে দেয়—আর আশ্চর্যভাবে সেই কাঁটা আস্তে আস্তে গলে বেরিয়ে আসে।
৩. উটের চোখ
মরুভূমি মানেই ধূলিঝড়। আমরা হলে চোখ খুলে রাখা মুশকিল। কিন্তু উটের চোখে আছে দুটি পর্দা—একটা সাধারণ পাপড়ি, আরেকটা স্বচ্ছ পর্দা।
কীভাবে কাজ করে?
ধুলো উড়লেও সে সেই স্বচ্ছ পর্দা নামিয়ে দেয়, ফলে চোখে ধুলো ঢোকে না; তবু সামনে দেখতে পারে। এটিই তার চোখ রক্ষার অনন্য ব্যবস্থা।
৪. উটের শরীরের তাপমাত্রা
সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, উট নিজের দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। মরুভূমির ৫০ ডিগ্রি উত্তাপেও সে ঠান্ডা থাকতে পারে; আবার বরফঢাকা জমিতে গেলে শরীর গরম রাখতে পারে।
কারণ ও ফল
এভাবেই উট পরিবেশের ভিন্ন চাহিদা মেটাতে পারে—এটাই তার টিকে থাকার মূল কৌশল।
